চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম পক্ষের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। আহ্বায়কের পক্ষটি আমুচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দের অনুসারী। অপর পক্ষটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের বলয়ভুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। শেষপর্যায়ে ছাত্রলীগের একপক্ষ বক্তব্য দিতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষ রড, লাঠি, কিরিচ নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন ওরফে তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিম উদ্দিন, জাহেদ হোসেন, মিঠু, আলতাফ হোসেন ওরফে হৃদয় ও শুভ দাশ। তাঁদের মধ্যে হৃদয় ও শুভকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কলেজে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এত দিন ক্যাম্পাসে কাজল দের অনুসারীরা আধিপত্য বিস্তার করতেন। কিন্তু সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করার পর নোমান অনুসারীরা ছাত্রলীগের পক্ষটি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আজ মারামারির আগে দুই পক্ষ পৃথকভাবে শহীদ মিনারে ফুল দেয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে।
কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ‘কলেজের অনুষ্ঠানে আমুচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান অনুসারীরা বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের নিষেধ করি। এর জেরে তারা বহিরাগতদের এনে হামলা চালায়। এ সময় নোমানও উপস্থিত ছিলেন।’
কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম ইরফান বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তারা (আরাফাতের অনুসারীরা) বহিরাগত এনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা হামলা প্রতিহত করেছি।’
এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট কলেজ ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করেছিল। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।