রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ৬৫ বার পেছাল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবারও আদালতে জমা পড়েনি।

তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ৩১ জুলাই নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আজ এই তারিখ নির্ধারণ করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

আদালত সূত্র জানায়, এ নিয়ে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ৬৫ বার পেছানো হলো।

গত ৪ এপ্রিল একই আদালত মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আজকের তারিখ (৫ জুন) ধার্য করেছিলেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আজ প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য নতুন তারিখ দেন।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।

অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।

পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ১৩ জনের গাফিলতি, অবহেলা ও দায় ছিল। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য এক দিন পর জানতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।