দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনু
দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনু

সাতসকালে কড়া পাহারায় আদালতে দীপু মনি-ইনু, পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) আজ সোমবার সকালে এ আদেশ দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কারাগার থেকে দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনুকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে কড়া পুলিশ পাহারায় তাঁদের আদালতকক্ষে তোলা হয়।

দীপু মনিকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা রিয়াজুল তালুকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর তোপখানা রোডে রিয়াজুলকে গুলি করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। মামলার এজাহারে দীপু মনির নাম রয়েছে।

অন্যদিকে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে রামপুরা থানায় দায়ের করা সোহান শাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে রামপুরা থানা-পুলিশ। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করার পর ইনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় সিএনজিচালিত স্টেশনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সোহান শাহ। সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি চালায়। তখন সোহান শাহসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সোহান শাহকে স্থানীয় ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোহান শাহকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৩ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই গত ২৪ আগস্ট তিনি মারা যান। মামলায় হাসানুল হক ইনুর নাম রয়েছে।

১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার হন দীপু মনি। পৃথক তিনটি মামলায় তাঁর ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আর ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার ইনু। পাঁচ মামলায় তাঁর ২৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।