নিজাম হাজারী
নিজাম হাজারী

সাবেক এমপি নিজাম হাজারীসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ফেনীর মহিপালে ৪ আগস্ট গুলি করে অটোরিকশাচালক মো. সবুজকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন নিহত মো. সবুজের ভাই মো. ইউসুফ।

মামলার আসামিদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান করিম উল্যাহ, ফেনী পৌরসভার মেয়র ও ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির, ফেনীর ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক, শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জানে আলম ভূঞা, ধলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মুন্সী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন বাবলু, ফেনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, নিজাম হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ মানিক, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আফসার, ফেনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর কোহিনূর আলম, পৌর কাউন্সিলর আবুল কালাম, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জায়লস্কর ইউপির চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী, মঙ্গলকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের নাম রয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ মানিক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত সোমবার আখাউড়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

৪ আগস্ট দুপুরে ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কর্মসূচিতে থাকা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।