ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিচ্ছে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ মঙ্গলবার থেকে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছে। আজ সকালে নগরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি পার্কে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, নগরে ডেঙ্গুর উপদ্রব রোধে ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানোর কাজ করবেন। আর স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার-প্রচারণা চালাবেন।

এদিকে বিধি-বিধানের বাইরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য গতকাল সোমবার সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সভায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডে আলোর ব্যবহার কমানোরও সিদ্ধান্ত হয়।

গতকাল নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সিটি করপোরেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সৌন্দর্যবর্ধন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তা বাতিল বলে গণ্য করা হবে। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।

সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে কন্টেইনার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা, নতুন কনটেইনার মুভার ক্রয় করা, ত্রুটিযুক্ত আবর্জনাবাহী গাড়ি দ্রুত মেরামত ও রং করে ব্যবহারের উপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্ন বিভাগের বিগত ৬ মাসের ওয়ার্ডভিত্তিক কার্যক্রমের তালিকা আগামী এক মাসের মধ্য মেয়রের কাছে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরে যে সব বিলবোর্ড টানানো হয়েছে তা সিটি করপোরেশনের অনুমোদন রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সিটি করপোরেশনের কার্য পরিচালনায় মিতব্যয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ ব্যবহার্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন ও সাশ্রয়ী হওয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেয়র সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নগরের যেসব অপরিকল্পিত কাজ করা হয়েছে তা পরিহার করে নতুন উদ্যোগে নগরের সৌন্দর্যবর্ধনের ওপর পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।