প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই পদক গ্রহণ করছেন অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই পদক গ্রহণ করছেন অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই পদক পেলেন অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া

‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২৩’ পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ পদক দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আইয়ের চেতনা চত্বরে এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়ার হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃতির জন্য দরদ দিয়ে কাজ করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ফিরিয়ে আনা যায় না, এটি আমাদের বুঝতে হবে। পরিবেশযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।

বাংলাদেশের নদী রক্ষায় গবেষণার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরিতে প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা শেষে ২০০৩ সালে তিনি একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রামের হালদা নদীকে কেন্দ্র করে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নেওয়ার লক্ষ্যে অধ্যাপক কিবরীয়ার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় নদীভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি। হালদা নদীর ডলফিন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই অধ্যাপক। তাঁর তত্ত্বাবধানে হালদা নদীতে ডলফিনশুমারি ও ডলফিন মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনে বাংলাদেশে প্রথম ডলফিনের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

হালদা নদীর মা-মাছ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও অধ্যাপক কিবরীয়া সাফল্য দেখিয়েছেন। নদী নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নদী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তিনি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাময়িকীতে এই অধ্যাপকের অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইমপ্রেস গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রকৃতি সংরক্ষণে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের ১ আগস্ট চ্যানেল আইয়ে শুরু হয় নতুন মাত্রার গবেষণা, তথ্যবহুল, সচেতনতা ও শিক্ষামূলক ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’। প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক দেওয়া শুরু হয় ২০১১ সালে।