জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পর ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদসহ নাবিকদের সঙ্গে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত
জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পর ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদসহ নাবিকদের সঙ্গে কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত

আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। ফলে সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে।

জাহাজটি ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ৯ দিনের মাথায় এই দূরত্ব অতিক্রম করে জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাল।

১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল। জাহাজটি ভেড়ানোর পর বন্দরের প্রক্রিয়া শেষ করে কয়লা খালাস শুরু হবে। এরপর আরেকটি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে চট্টগ্রামে ফেরার কথা রয়েছে।

কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর দুজন নাবিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিকের ওই জাহাজে করে দেশে ফেরার কথা। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।