অন্তর্বর্তী সরকারের ৯টি ও নিজেদের ৫টি রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এর মধ্যে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন, চিকিৎসা দেওয়া এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনকে সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান মাহফুজ আলম। ওই স্ট্যাটাসের শিরোনাম ‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার’।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম সরকারের যে ৯টি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন, সেগুলো হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন, চিকিৎসা দেওয়া এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন; জুলাই গণহত্যার বিচার ও সেই লক্ষ্যে যথাযথ মামলা ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা; গত ১৬ বছরের গুম–খুন ও অর্থনৈতিক লুটপাটের বিচার এবং লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনা; জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিবিধ প্রতিষ্ঠানের বাস্তবসম্মত সংস্কার; শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও আবাসনসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সব খাত ঢেলে সাজানো; তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বৃদ্ধি করা; কথিত ‘উন্নয়ন অর্থনীতির’ বদলে জনগণ, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের অনুকূল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারের সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনগণের সেবা নিশ্চিত করা।
মাহফুজ আলম নিজেদের যে পাঁচটি রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন, সেগুলো হলো অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা; জাতীয় স্বার্থকে সব ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখা, বিগ করপোরেশন ও বিদেশি স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের জনগণ, প্রাণ–প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেওয়া; জাতীয় অগ্রাধিকার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও পররাষ্ট্র—সম্পর্ক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য ধরে রাখা ও জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও খুনিদের ফেরত আসার পথ রুদ্ধ করা; সংস্কারের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তথা নির্বাচনব্যবস্থা, সংস্কার সাপেক্ষে জনগণের রায়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া এবং সারা দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে, রাজনৈতিকভাবে (দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে) শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা।