শিক্ষার্থীদের যেখানে প্রশ্ন করাই কাজ, সেখানে তাদের চুপ করিয়ে দেওয়াকে ক্ষমতাসীনেরা দায়িত্ব মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘যে দল ক্ষমতায় আছে, সে দলের ছাত্র হলে এক নিয়ম, আর অন্য দলের হলে আরেক নিয়ম। এই পদ্ধতিতে একটি দেশ চলতে পারে না।’
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও প্রতিশ্রুতির পঞ্চম বর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সভার আয়োজন করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)।
শহিদুল আলম বলেন, ‘২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে প্রথমবারের মতো দেখেছি রাস্তায় গাড়ি সুষ্ঠুভাবে চলে। যেখানে ভিআইপি থামানো হয়, অ্যাম্বুলেন্স চলে। সেটাই হওয়ার কথা। কিন্তু একবার ছাড়া আর কখনো হয়নি।’
রাজনৈতিক দলগুলো দলের প্রধানদের স্বার্থ নিয়ে আন্দোলন করেন এবং সাধারণ মানুষের প্রয়োজন তাদের বিষয়বস্তু নয় উল্লেখ করে শহিদুল আলম বলেন, ‘আপনারা (নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীরা) যেটা করেছেন, তা প্রতিটি দেশের নাগরিকের চাহিদা।’
চালক ও মালিক ছাড়াও আরও অনেক কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, সড়কে বাঁকের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফসল হিসেবে যে নতুন সড়ক পরিবহন আইন হয়েছে, তা পরিবহন মালিক–শ্রমিকদের আরও বেশি বেপরোয়া হতে সাহায্য করেছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রীদের পদে পদে হয়রানি চলছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানজিদ সোহরাব লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রচলিত সড়ক পরিবহনব্যবস্থা মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় পরিচালিত হয়ে আসছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ মেহেদী।