রেলে নাশকতার ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনের আশপাশের এলাকা থেকে আটক নয়জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র্যাব। আজ শুক্রবার তাঁদের বিমানবন্দর থানায় হওয়া ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১–এর একটি দল ওই ৯ ব্যক্তিকে আটক করে। আটকের পর র্যাব বলেছিল, তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ঘটনার সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আজ সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয় এবং পরে তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত ৯ জনকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই আসামিরা হলেন আল আমিন (৩৮), হৃদয় মিয়া (২৮), হানিফ হোসেন (৪০), মো. ইয়াছিন (২০), মনিরুজ্জামান ওরফে সুমন সরদার (২২), মো. রুমান (২০), মো. সজীব (১৮), মো. নীরব (১৮) ও মো. হৃদয় (১৮)।
ওই ৯ জনকে আটক অভিযানের তদারকি করেন র্যাব-১–এর উপপরিচালক পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ঘটনার সন্দেহভাজন হিসেবে ৯ জনকে আটক করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় তাঁরা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চেনেন কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাতে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি কিংবা অগ্নিসংযোগকারীদের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মোহনগঞ্জ ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সংগৃহীত ফুটেজের ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের চেহারার মিল পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে পরে তাঁদের মোহনগঞ্জ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই, মাদক কেনাবেচাসহ নানা অপরাধে জড়িত।
তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন ইউনিট ছায়া তদন্ত করছে। আজ রাত পর্যন্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করার তথ্য জানাতে পারেনি।
গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। এতে মা-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়।