বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি হলেন অধ্যাপক ও প্রাবন্ধিক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
২৪ অক্টোবরের এই প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আগামী ৩ বছরের জন্য তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি নিযুক্ত হলেন।
আগামীকাল সোমবার বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে যোগ দিতে পারেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে উদ্দেশ্যেই এর কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করি। প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তান আমলে, বাংলাদেশ হওয়ার পরও কাজ করেছে। কিছু সংকীর্ণতা তৈরি হয়েছে এর কর্মকাণ্ডে। স্থাপনের উদ্দেশ্য মাথায় রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে একে সর্বজনীন করার চেষ্টা থাকতে হবে।’
বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক চিন্তক ফজলুল হক প্রথম আলোকে জানান, তিনি এখনো চিঠি হাতে পাননি। সম্ভবত তাঁর দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে তিনি সভাপতি হিসেবে নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে ইচ্ছা আছে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ‘সুন্দরম’ ও ‘লোকায়ত’ নামে দুটি সাময়িকপত্রের সম্পাদনা ছাড়াও রয়েছে তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই। ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আন্দোলন’, ‘রাজনীতি দর্শন’, ‘সাহিত্য চিন্তা’, ‘সংস্কৃতির সহজ কথা’-এর মতো ২০টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে গুণী এই অধ্যাপকের। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘ইতিহাসের আলোকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি’, ‘স্বদেশচিন্তা’-এর মতো একাধিক গ্রন্থ। ১৯৮১ সালে তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।
এর আগে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে একাডেমির সভাপতি পদে ছিলেন। ১৭ অক্টোবর তিনি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।