সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন
সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন

বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দীন নিহত হওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
আজ বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরিন বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি সিপাহি রইশুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এ ধরনের ঘটনা রোধে বিজিবি ও বিএসএফ ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

বিজিবির এক সদস্যের নিহত হওয়া নিয়ে ঢাকা দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে চেয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি যেটা বললাম, বিএসএফ আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি ভোরে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়েন। এ সময় বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীন ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে যান।

প্রথমে তাঁকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে রইশুদ্দীনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। রইশুদ্দীনের নিহত হওয়ার ঘটনায় ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সেখানে বিএসএফের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।