ট্রেন দুর্ঘটনা

সেই গেটম্যান আটক

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ঠেলে নিয়ে যায় প্রায় এক কিলোমিটার
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ঠেলে নিয়ে যায় প্রায় এক কিলোমিটার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কার ঘটনার পর স্টেশনের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বড়তাকিয়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও ছয়জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাস্থলে গেটম্যান না থাকায় কোনো সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না।

হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা

সাদ্দাম হোসেনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে না থাকার অভিযোগে সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

মরদেহগুলো সারি করে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে রাখা হয়েছে

বেলা তিনটার দিকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রী মো. কলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মাইক্রোবাসটি গ্রামীণ সড়ক হয়ে মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় বৃষ্টিও পড়ছিল। পথিমধ্যে সড়কের লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না। ছিলেন না লাইনম্যানও। ফলে কোনো বাধা ছাড়াই মাইক্রোবাসটি রেললাইনের ওপরে উঠে যায়। তখন মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা লাগে।

দুর্ঘটনাস্থলে মরদেহ ঘিরে মানুষের ভিড়

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খৈয়াছড়া ঝরনা পর্যটনকেন্দ্র থেকে গোসল করে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রেনটি ধাক্কা দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে মোট ১৫ আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।