চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে অছাত্রদের বের হয়ে যেতে আবারও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে তাঁদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারিও একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ১৫ মার্চের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়তে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্রত্ব নেই এমন একজনকেও এখন পর্যন্ত হল থেকে বের করতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপাচার্য শিরীণ আখতার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনাটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে মোশাররফ শাহকে মারধর করা হয়। মোশাররফ বলেন, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারীরা তাঁকে মারধর করেছেন। তাঁকে অনুষদের সামনে থেকে মারতে মারতে শহীদ আবদুর রব হলের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরেক দফা মারধর শেষে তাঁকে ছেড়ে দেন হামলাকারীরা। মারধরের বিষয়ে রেজাউলের দাবি, তিনি এ ঘটনার কিছুই জানেন না। সাংবাদিককে মারধরের নির্দেশ তিনি দেননি।
মোশাররফ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।