গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় ১৩৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাঁদের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাও আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বন্ধ করে দেওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের নতুন তারিখ শিগগির ঘোষণা করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২৬ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের ৫ উপপরিদর্শক (এসআই)।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১-এর বিধান অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে ইসি।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের মধ্যে ১২৫ জনের বিরুদ্ধে একই আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইসি চিঠি দেবে। এ ছাড়া একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৫ জন এসআইয়ের বিরুদ্ধে একই আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবে ইসি।
তবে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে যাঁরা নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন, তাঁদের তালিকা ইসির কাছে আছে। তালিকা দেখে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে ভোট ছিল। অনিয়মের কারণে একপর্যায়ে পুরো ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে ইসি।