রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তরফদার মো. আক্তার জামীল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন
রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তরফদার মো. আক্তার জামীল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন

সেই শিউলি ও পরিনাসহ রাজশাহী বিভাগের ১০ নারী পাচ্ছেন জয়িতা সম্মাননা

রাজশাহী বিভাগের সংগ্রামী সফল ১০ জন নারীকে জয়িতা নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সংগ্রাম করে চিকিৎসক হওয়া শিউলি আক্তার এবং নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন জীবন শুরু করা নারী পরিনাসহ ১০ সংগ্রামী নারী।

আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তরফদার মো. আক্তার জামীল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

জয়িতা সম্মাননার জন্য মনোনীত ১০ নারীর মধ্যে শিউলিকে নিয়ে ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘শিউলির চিকিৎসক হওয়ার সংগ্রাম’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সময়ের মুখ’ হিসেবে শিউলির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

আর পরিনাকে নিয়ে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ‘কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটাই মা-বাবার ভরসা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত ১০ নারী হলেন অর্থনৈতিকভাবে সফল নারী ক্যাটাগরিতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার হাছনা বেগম ও রাজশাহী মহানগরীর সোনিয়া খাতুন; শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর চারঘাটের ডা. শিউলী আক্তার ও বগুড়ার সারিয়াকান্দির তাছলিমা আবিদ; সফল জননী ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গোলসানারা বেগম ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার অরিদা বেগম। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ক্যাটাগরিতে রাজশাহী নগরের মর্জিনা ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোছা. পরিনা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য জয়িতা সম্মাননা পাচ্ছেন রাজশাহী নগরের বাসিন্দা তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি মো. মুহিন ওরফে মোহনা ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার আছমা বিবি।

সভায় জানানো হয়, ১৬ জুলাই সফল এই ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সংগ্রামী সব সফল নারীর প্রতীকী নাম ‘জয়িতা’। তৃণমূলের নারীদের আত্মশক্তিকে উজ্জীবিত করতে এবং তাঁদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদানের লক্ষ্যে দেশে প্রতিবছর জয়িতা অন্বেষণ করা হয়ে থাকে। এবারও আবেদনের পর নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই–বাছাই শেষে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে রাজশাহী বিভাগের ৪০ জন সংগ্রামী ও সফল নারীকে নির্বাচিত করা হয়। পরে ওই ৪০ জনের মধ্যে ১০ জন নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।