চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহউপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও সব হলের প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ না করলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে লাইভে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ঘোষণা দেন। তিন মিনিটের এই লাইভ ভিডিও বার্তায় তিনি ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হয়রানি নিয়ে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেন।
এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাতে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন এ সমন্বয়ক। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আল্টিমেটামটি স্থগিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে আবার আল্টিমেটাম দেন তিনি। এবারের আল্টিমেটামে দুই সহউপাচার্য ও আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষদেরও পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির ইন্ধনে ছাত্রলীগ আমাদের ভাই-বোনদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালায়। আমাদের বোনদের গালাগাল করে। কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করলেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের থাকার সুযোগ করে দেয়। তাঁরা শিক্ষকদের ওপর বোমা হামলা চালালেও কর্তৃপক্ষ নীরব ছিল।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে উপাচার্য, সহউপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও সব হলের প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। যদি দুপুর ১২টার মধ্যে আপনারা পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাব। সবাইকে পদত্যাগ করতে আমরা বাধ্য করব। আপনারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেব।’