সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গত জুলাই মাসে বিক্ষোভ করার ঘটনায় কারাদণ্ড হওয়া ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে ক্ষমা করার আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার ও তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি এ আদেশের আওতায় পড়বে।
প্রেসিডেন্টের আদেশ প্রতিপালনে আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল হামাদ আল সামছি এরই মধ্যে ওই বাংলাদেশিদের কারাদণ্ড কার্যকর না করা এবং তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল আরব আমিরাতে বসবাসরত সব নাগরিককে সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান। রাষ্ট্র ও এর আইনি কাঠামোর আওতায় মানুষের মতামত প্রকাশের অধিকারের সুরক্ষার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
গত জুলাইতে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ঘটনায় সে দেশের ফেডারেল আদালত তাঁদের অভিযুক্ত করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মানুষের মতামত প্রকাশের বৈধ পন্থা সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে। এই পন্থায় মানুষের ওই অধিকার যাতে দেশ ও জনগণের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর না হয়, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে প্রথম আলোর কূটনৈতিক প্রতিবেদক জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠকে ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে আমিরাত প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়টি জানান।
এর আগে মুহাম্মদ ইউনূস ওই বাংলাদেশিদের মুক্তির ব্যাপারে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে গত জুলাইতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।