দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন। এই তিন দেশ সরকারিভাবে কাউকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পাঠায়নি।
আজ সোমবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিশনের মুখপাত্র এবং কানাডা হাইকমিশন এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় এ কথা জানায়।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষক হিসেবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পর্যবেক্ষকেরা। পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা। ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক সদস্য জিম বেটস, যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পর্যবেক্ষক এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার গ্রে, কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য ও সিনেটর ভিক্টর ওহ।
জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র মুঠোফোনে খুদে বার্তায় এই প্রতিবেদককে জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে এসেছিলেন। তাঁরা নিজেদের কিংবা তাঁদের সংগঠনের হয়ে কথা বলেছেন। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের মুখপাত্র খুদে বার্তায় এই প্রতিবেদককে জানান, যুক্তরাজ্যের কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন। যুক্তরাজ্য সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো মিশন বাংলাদেশে পাঠায়নি। অন্য যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশন বাংলাদেশে এসেছে, তারা স্বাধীন এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
কানাডা হাইকমিশন এক্স বার্তায় লিখেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কানাডার যে দুই নাগরিকের কথা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তাঁরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাই নির্বাচনের বিষয়ে তাঁদের (দুই পর্যবেক্ষক) মতামতের সঙ্গে কানাডা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।