আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুটি প্রতিনিধি কমিটির চারজন সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ সোমবার পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে ওই চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির খিলগাঁও থানার প্রতিনিধি কমিটির সদস্য মো. শরিফ বকাউলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে যুবলীগ–সংশ্লিষ্টতার জন্য। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার প্রতিনিধি কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামকে। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদকে সহায়তা এবং মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে একই কমিটির সদস্য ইমরানুল হক ও আল মামুনকে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, গত ২৬ নভেম্বর খিলগাঁও থানার প্রতিনিধি কমিটি ঘোষিত হয়। ওই কমিটির ৫৯ নম্বর সদস্য মো. শরিফ বকাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় যে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী ছিলেন। যাচাই-বাছাই করার পর এ অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই শরিফ বকাউলকে খিলগাঁও থানার প্রতিনিধি কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির ১৫৭ নম্বর সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে প্রার্থী পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব উদ্দিনের সহচর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সোহরাবের সহায়তায় নজরুল ফ্যাসিস্টদের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ছাত্র–জনতাকে দমন করতে নজরুল ডামি সংসদ সদস্য সোহরাবকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নজরুলের সুপারিশে প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হওয়া ইমরানুল হক ও আল মামুন ফ্যাসিবাদের দোসর এবং মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই এই তিনজনকে প্রতিনিধি কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।