দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনীর বিজয় উপলক্ষে গত বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি মোটর শোভাযাত্রা হয়েছে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনীর বিজয় উপলক্ষে গত বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি মোটর শোভাযাত্রা হয়েছে

রাশিয়ার মহান বিজয় দিবসে গুলশানে মোটর শোভাযাত্রা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনীর বিজয় উপলক্ষে গত বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি মোটর শোভাযাত্রা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৭৯তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব রাশিয়ান কোমপ্যাট্রিয়টস ‘রোডিনা’ যৌথভাবে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

রাশিয়ার পতাকা, বিজয়ের ব্যানার, সেন্ট জর্জ রিবন ও স্বজনদের ছবি নিয়ে প্রায় ৩০টি মোটরগাড়ি ও ৫০টি মোটরসাইকেলে প্রায় ২০০ মানুষ নিয়ে রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ে শোভাযাত্রা হয়।

মোটর শোভাযাত্রার শুরুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি ওই যুদ্ধে ‘অমর রেজিমেন্ট’ অ্যাকশনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল ডোভিচেনকভ বলেন, বাংলাদেশের মতো রাশিয়ার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।
রাশিয়ার নাগরিকদের সংগঠন ‘রোডিনা’ সমিতির প্রেসিডেন্ট এলিনা বাস ইউক্রেনে যুদ্ধে নিহত তাঁর চাচার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সোভিয়েত সৈন্যদের স্মৃতিস্তম্ভগুলো ভেঙে দিয়ে ইতিহাস পুনর্লিখনের জন্য ইউক্রেনীয় সরকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করেন।

রুশ দূতাবাসের শোভাযাত্রায় ৩০টির মতো মোটরগাড়ির সঙ্গে ৫০টি মোটরসাইকেলে প্রায় ২০০ মানুষ অংশ নেন

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাসরত রাশিয়ার নাগরিক, দূতাবাসের কর্মী, অ্যাসোসিয়েশন অব সোভিয়েত বা রাশিয়ান অ্যালামনাই এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটেরান্স ফাউন্ডেশনের সদস্যরা, সাংবাদিক আর শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশ নেন।