নাগরিক ঐক্যের ১২ বছর পূর্তিতে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠান হয়
নাগরিক ঐক্যের ১২ বছর পূর্তিতে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠান হয়

ওহি নাজিল হবে না, নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে

সরকার পতনের জন্য কোনো ওহি নাজিল হবে না। নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে। নাগরিক ঐক্যের এক অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য এসেছে। সেখানে বক্তরা বলেন, বিরোধী দলের জন্য সরকার নানা ইস্যু তুলে দিচ্ছে। কিন্তু কোনো ইস্যু কাজে লাগাতে পারছি না। এটা নিজেদের ব্যর্থতা, জনগণের ব্যর্থতা নয়।

নাগরিক ঐক্যের ১২ বছর পূর্তিতে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ অনুষ্ঠান হয়।

এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, আমার বাংলাদেশ পার্টির মজিবুর রহমান ও গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন।

সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের সাবেক এক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সাবেক এক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।

দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চোরাচালন ও লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আগামী অর্থবছর আসার আগে এ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্ত তৈরির কারখানা বলে অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বহারা। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের পর আন্দোলন হবে—এমন কোনো দিনতারিখ আর চাই না। প্রতিনিয়ত-প্রতিমুহূর্ত রাজপথে থেকে সরকারের পতন নিশ্চিত করব।’