যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআইকে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সদস্যদের বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট একটি অলাভজনক সংস্থা। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র, রাজনীতিতে সবার অংশগ্রহণ, বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং মুক্তচিন্তার চর্চাকে সহায়তা দেয় তারা।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এ কে আব্দুল মোমেন। সেখানে আলোচনায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, ওয়াশিংটন সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইআরআইয়ের এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন। আইআরআই কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তাঁদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন, যাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফরের সময় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে খ্যাতনামা মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিলের সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ‘প্রভাব পড়বে না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন সেহেলী সাবরীন।

প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর উপদেষ্টার বক্তব্য বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘আমি এটা মনে করি না। আমরা তো ওয়াশিংটনে মিটিং করে এলাম।’

সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘ভণ্ডদের আখড়া’ বলে মন্তব্য করেন।