মোবাইল ডেটার দামও নির্ধারণ করে দেবে সরকার: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
ফাইল ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুঠোফোন অপারেটরগুলো ব্যন্ডউইডথ কিনে তা জিবিতে বিক্রি করছে। এখানে একটি অসমতা রয়েছে। মুঠোফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে সরকার যেমন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতে ডেটার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আয়োজিত (বিটিআরসি) এক সভায় মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। মুঠোফোনের ডেটা ও ডেটা প্যাকেজ নিয়ে বিটিআরসির চূড়ান্ত করা নতুন একটি নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা করতে এই সভা ডাকা হয়।

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল ডেটার ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি প্যাকেজ আর থাকছে না। প্যাকেজের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৪০টি। আর মেয়াদ হবে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড (নির্দিষ্ট মেয়াদহীন)। নতুন এই সিদ্ধান্ত ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

বিটিআরসির সভায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মোবাইলের প্যাকেজ-সংক্রান্ত এই নির্দেশিকা ঠিক করার সময়ই ডেটার মূল্য বেঁধে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা আগে দেখবেন। এটা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘ডেটার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়েও আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে মুঠোফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার (সজীব ওয়াজেদ জয়) সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরামর্শ নিয়ে বিষয়টি (ডেটার দাম নির্ধারণ) বাদ রেখেছি। দাম এখনই নির্ধারণ করা হবে না।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান এমন কথা বলার পরই পাশ থেকে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলে ওঠেন, ‘মাননীয় চেয়ারম্যান, এর মানে কিন্তু এই নয় যে আমরা ভবিষ্যতে (মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ) করব না। উপদেষ্টা (সজীব ওয়াজেদ জয়) মহোদয় বলেছেন, তাই তাঁর পরামর্শে এখন করছি না।’

সভায় ডেটা প্যাকেজ-সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা উপস্থাপন করেন বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। আরও বক্তব্য দেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুলফিকার, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।