দুর্গাপূজার মহাষ্টমীতে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে এই পূজা করা হয়। কুমারীপূজা ঘিরে সকাল থেকেই মঠপ্রাঙ্গণ ছিল ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখর। এদিন সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাষ্টমী পূজা শুরু হয়। পরে সকাল ১০টায় পুষ্পাঞ্জলি দেন ভক্তরা। আজ মহানবমী–দশমী উদযাপিত হচ্ছে।
হিন্দুশাস্ত্রমতে অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারীপূজা’। গতকাল কুমারীপূজা চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এর আগে কুমারীকে নতুন লাল শাড়ি, গয়না, পায়ে আলতা ও ফুলের মালায় দেবীরূপে সাজিয়ে মণ্ডপে আনা হয়। পদ্মফুল হাতে দেবী পূজার আসনে বসার পর মন্ত্রপাঠে শুরু হয় পূজা। শেষে দেবী মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পরে হয় প্রসাদ বিতরণ।
কুমারীপূজার সময় পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের ফাঁকে ফাঁকে বাজানো হয় ঢাকঢোলের বাদ্য, কাঁসরঘণ্টা ও শঙ্খ। এ সময় ভক্তরা উলুধ্বনি দেন এবং জয়ধ্বনি দিয়ে কুমারী দেবী ও দুর্গা দেবীর স্তুতি করেন।
পূজার কার্যক্রম শেষে কুমারী মায়ের নাম জানান রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূ্র্ণাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, এ বছর কুমারী মা হয়েছে সংহিতা ভট্টাচার্য। তার বয়স ৮ বছর, জন্ম ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। শাস্ত্রমতে, এদিন তার নামকরণ করা হয় কুবজিকা। সংহিতার বাবার নাম সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মা অর্পিতা ভট্টাচার্য। কক্সবাজারের রামুর একটি স্কুলের কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থী সংহিতা। ঢাকার রামপুরার বনশ্রী এলাকায় তাঁদের বাসা।
পূজা আয়োজন নিয়ে স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ আরও বলেন, ‘আমরা খুব স্বচ্ছন্দভাবে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা করেছি। আমরা কোনো নিরাপত্তার অভাব অনুভব করিনি। হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।’
এ সময় কুমারী দেবী সংহিতা ভট্টাচার্য বলে, ‘আমি সবাইকে আশীর্বাদ করেছি। সবার কল্যাণ হোক।’