প্রথমবার একুশে বইমেলায় এসেছে আফসানা নিতু। সে রাজধানীর রায়ের বাজারের মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার বিকেলে তার হাতে রঙিন ফিতা দিয়ে বাঁধা কয়েকটি বই তুলে দিলেন মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মীর নওবত আলী ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বইমেলায় বিকাশের বই সংগ্রহ কেন্দ্রে এদিন সুবিধাবঞ্চিত ১০ শিশুর হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। এর ভেতর দিয়ে এবারের মেলায় বিকাশ-প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো।
সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মীর নওবত আলী জানান, ২০১৯ সাল থেকে বইমেলায় আসা গ্রন্থানুরাগী, প্রকাশক ও লেখকদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে সেই বই বিতরণের উদ্যোগ নেয় বিকাশ। প্রথম বছর ৬ হাজার বই সংগ্রহ ও বিতরণ করা হয়েছিল। প্রতিবছরই বিকাশের এই উদ্যোগে দাতাদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে এর বিস্তৃতি বাড়াতে সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের কাছে ও পাঠাগারে বই পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত বছর থেকে এ উদ্যোগে প্রথম আলো ট্রাস্ট যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর এক লাখ বই সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে। দাতারা চাইলে বইয়ের পরিবর্তে বিকাশের অ্যাপে গিয়ে বই সংগ্রহের জন্য অর্থও দান করতে পারবেন।
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, দেশের অগ্রগতি ও বিকাশে ভূমিকা রাখছে বিকাশ। সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর ও অর্থাভাবে থাকা মফস্সলের পাঠাগার, স্কুলের পাঠাগারে বই পৌঁছে দেওয়ার এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। যাঁরা এই বই দান করছেন, তাঁরাও মহৎ কাজ করছেন। তিনি দাতাদের যেনতেন বই না দিয়ে ভালো মানের বই দিতে অনুরোধ করেন। তিনি নিজেও তাঁর লেখা বই দানের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মাস্তুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির সুবিধাবঞ্চিত ১০ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে এসেছিলেন মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রায়হান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা।