প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই মামলা থেকে আরও ১১৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক রোববার এ রায় দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শিশির হালদার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিশির হালদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় আদালত সাতজনকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অবশ্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ১২৪ জনের মধ্যে কোন ১০ জনের সাজা হয়েছে, সেই নাম জানাতে পারেননি বেঞ্চ সহকারী শিশির হালদার।
২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন (বর্তমানে ১৫ জন বহিষ্কৃত) শিক্ষার্থীসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আসামিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় দুটি আইনে (আইসিটি ও পাবলিক পরীক্ষা) অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। আইসিটি আইনের মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আইসিটি আইনের মামলায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে সব আসামি খালাস পান।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি পাবলিক পরীক্ষা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন (বর্তমানে ১৫ জন বহিষ্কৃত) শিক্ষার্থীসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। সেই মামলায় রোববার রায় দিয়েছেন আদালত। তাতে ১০ জনের সাজা হয়েছে। বাকি ১১৪ জন আসামি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।