হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

সাজার রায় বাতিল, এজাহারকারীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ২৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

ওই মামলায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওই রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে চলতি বছর হাইকোর্টে আপিল করেন ইশরাত। এই আপিল মঞ্জুর করে গত ২৯ মে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেন, এই রায় ও আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আপিলকারীর (ইশরাত) বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার কারণে এজাহারকারীসহ সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা তদন্তের মাধ্যমে উদ্‌ঘাটন করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আদালতকে অবহিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেওয়া হলো।

রায়ে বলা হয়, ‘২০২১ সালের ২৮ জুলাই ইশরাত রফিক ঈশিতাকে উত্তর ইব্রাহীমপুরের নিজের বাসা থেকে র‍্যাব–১–এর কর্মকর্তারা আলাপ আছে বলে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর সামনে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর চার দিন অজ্ঞাতস্থানে বেআইনিভাবে আটক রেখে ২০২১ সালের ১ আগস্ট সকাল ৯.৩৫ তারিখ ও সময় দেখিয়ে পরদিন সকাল ৯.১৫ মামলা দায়েরের তারিখ ও সময় দেখিয়ে এই মামলাটি দায়ের বেআইনি ও এখতিয়ারহীন। একই ঘটনাস্থল দেখিয়ে এজাহারকারীর তিনটি পৃথক মামলা দায়ের এবং ওই কথিত ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখানো এজাহারকারীসহ এতদ্‌ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের বেআইনি ও এখতিয়ারবিহীন, আইনের সকল বিধিবিধান ও সংবিধান পরিপন্থী কর্ম। হাইকোর্ট অভিযোগের দায় থেকে ইশরাতকে অব্যাহতি দিয়ে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’

হাইকোর্টে ইশরাতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা। পূর্ণাঙ্গ রায় পেয়েছেন জানিয়ে আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইশরাতের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এজাহারটি দায়ের করেন র‍্যাবের তৎকালীন ডিএডি মো. আমীর আলী। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ইশরাত জামিনে মুক্ত হন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইতিমধ্যে তাঁর এক বছরের সাজাভোগ শেষ হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও দণ্ডবিধিতে করা অপর দুটি মামলা এখন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।