লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার রতনপুর এলাকায় কাউন্সিলরের নির্মাণাধীন তিন তলা বাড়িতে ভাঙচুর। আজ মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার রতনপুর এলাকায় কাউন্সিলরের নির্মাণাধীন তিন তলা বাড়িতে ভাঙচুর। আজ মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবি

রামগঞ্জে পৌর কাউন্সিলরের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর রাশেদুল হাসানের তিনতলা বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার রতনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জমি দখল করে ওই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আবদুস সাত্তার।

রাশেদুল হাসানের অভিযোগ, ১৫ থেকে ২০ জন সহযোগী নিয়ে রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার তাঁর নির্মাণাধীন বাড়িতে ভাঙচুর করেছেন। এ সময় বাড়ির কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা ৫ টন রড ও ৫০ ব্যাগ সিমেন্ট লুট করা হয়।

রাশেদুল জানান, ৬ শতাংশ জমিতে এক বছর আগে বাড়িটির নির্মাণকাজ শুরু করেন তিনি। তিনতলা বাড়ির প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে বাড়িতে হামলা করে সবগুলো দেয়াল ভেঙে ফেলে আবদুস সাত্তারের লোকজন। দুই-তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালালেও তারা কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। এ পরিস্থিতিতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়ির সব তলায় ইট ছড়ানো-ছিটানো। ভেঙে ফেলা হয়েছে দেয়াল থেকে শুরু করে দরজা-জানালা ও নির্মাণকাজের ব্যবহার্য সব জিনিস।

এলাকার লোকজন জানান, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে বিকট শব্দে এলাকাবাসী এসে জড়ো হন। তবে কেউ হামলাকারীদের বাধা দিতে সাহস পাননি।

বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ স্বীকার করে আবদুস সাত্তার বলেন, ‘আমার মালিকানাভুক্ত জমিতে জোর করে ওই বাড়ি তোলা হয়েছে। এ জন্য ভেঙে ফেলেছি। তবে রড ও সিমেন্ট লুট করে নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’

হামলার বিষয়ে অবগত থাকার কথা জানিয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।