বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান বৈঠক করেছেন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান বৈঠক করেছেন

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধান কৌঁসুলি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আইসিসিতে অভিযোগ করতে পারে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে করিম এ এ খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। এ সময় তিনি বলেন, তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন।

করিম এ এ খান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।

বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলিও বক্তব্য দেন।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। করিম খান বলেন, ‘এ তিন দফা যথার্থ।’

করিম খানের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান অধ্যাপক ইউনূস। এ বিপ্লবে কমপক্ষে ৭০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

করিম এ এ খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগভিত্তিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। তিনি বলেন, আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার জন্য যথাযথ নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয়।