প্রাইভেট কারে ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নিহত ব্যক্তিদের এক স্বজনের আহাজারি। সোমবার বিকেলে, ঢাকার উত্তরায়
প্রাইভেট কারে ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে নিহত ব্যক্তিদের এক স্বজনের আহাজারি। সোমবার বিকেলে, ঢাকার উত্তরায়

প্রাইভেট কারে গার্ডার

বেঁচে গেলেন নবদম্পতি, হারালেন ৫ স্বজন

রাজধানীর উত্তরায় গার্ডারের নিচে চাপা পড়া প্রাইভেট কারের যে দুজন আরোহী প্রাণে বেঁচে গেছেন, তাঁরা নবদম্পতি। তাঁদের বউভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে স্বজনেরা মিলে ওই প্রাইভেট কারে করে আশুলিয়ার বাসায় ফিরছিলেন।

আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে তাঁরা দুর্ঘটনার শিকার হন। বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ক্রেন দিয়ে ওঠানোর সময় তাঁদের প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে।

বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরছিলেন বাসায়। পথে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আজ সোমবার বিকেলে, ঢাকার উত্তরায়

ঘটনার পরপরই হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখনো গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে থাকা প্রাইভেট কারের মধ্যে আটকা ছিলেন পাঁচজন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর গার্ডারটি সরিয়ে প্রাইভেট কারের মধ্য থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, সবাই হৃদয় ও রিয়া মনির বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে দক্ষিণখানের কাওলা থেকে আশুলিয়ায় ফিরছিলেন তাঁরা।

প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল মিয়া (৬০)। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি রয়েছেন। নববধূ রিয়ার মা মোছা. ফাহিমাও (৩৭) মারা গেছেন।

দুর্ঘটনায় দুই মেয়ে ঝর্ণা ও ফাহিমাকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন জাহানারা বেগম।

নিহত অপর তিনজন হলেন ফাহিমার বোন ঝর্ণা (২৬) এবং তাঁর দুই শিশুসন্তান জান্নাতু (৬) ও মো. জাকারিয়া (৪)।

হৃদয় ও রিয়া মনিকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানিয়েছেন।