ফরাসি প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এবং কেনা হবেও না বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ঢাকায় আসেন। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ফরাসি প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একই প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট নেওয়ার বিষয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এয়ারবাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওই উড়োজাহাজ কেনার পরবর্তী কার্যক্রম না চালাতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান চলতি মাসে রিটটি করেন। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রিটে উল্লেখ করা হয়, ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানি থেকে ১১টি এয়ারবাস কিনতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ।
আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এয়ারবাস থেকে বিমান বাংলাদেশের উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে কখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চিঠি চালাচালি হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কিনবে না বলে আদালতকে জানিয়েছি। ফরাসি প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে কোনো চুক্তিও হয়নি। এয়ারবাস থেকে প্রস্তাব এসেছিল, যার মেয়াদও ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। বিমানের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানোর পর আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।’
রিট আবেদনকারী আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশ বলেছে, এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কিনবে না। কারণ, চুক্তি যেটি সই করার কথা ছিল, সেটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। জুন-জুলাই মাসে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এমানুয়েল মাখোঁ যখন এসেছিলেন, তখন এয়ারবাসের পক্ষে ক্যাম্পেইন করে গেছেন।