হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আগাম জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা সময় পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলা হলে গ্রহণ করতাম, কষ্ট হতো না। কিন্তু মামলাটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে, পীড়া দিয়েছে। কারণ, এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। একজন অচেনা লোক যে বাদী মামলা করেছেন, অথচ তিনি আমাকে চেনেন না বলেছেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো একাত্তর সালেই মারা গেছি। এখন বর্ধিত জীবন যাপন করছি। আমি ভীত নই। জামিন পেয়েছি, তবে বিবেক ও মুখ বন্ধ রাখব না।’
এর আগে গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামের একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ১৭ অক্টোবর মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। এ মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ মামলার ৯৪ নম্বর আসামি।
এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আদালতে উপস্থিত হন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী। তাঁর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মো. শাহীনুজ্জামান প্রমুখ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই যে গণহারে মামলা ও নিষ্পাপ লোকদের একটা নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, সেটি যদি বন্ধ না হলে মামলার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।’
জামিন আবেদনকারীর অপর আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করার সময় পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’