বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলার বিষয়ে তাঁর সহপাঠীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে র্যাব। তাঁদের বলা হয়েছে, ফারদিন স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি দল আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলার র্যাব সদর দপ্তরে যায়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁদের সামনে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন র্যাব কর্মকর্তারা।
শিক্ষার্থীদের ওই দলে ছিলেন মাশিয়াত জাহিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আজ (শুক্রবার) র্যাবের কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলেছি। ডিবির চেয়ে অনেক বিস্তারিত তথ্য র্যাব আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘র্যাবের কর্মকর্তারা বলেছেন হতাশা থেকেই ফারদিন স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারেন। পুলিশ ও র্যাবের তদন্তে পাওয়া তথ্য নিয়ে আমরা বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলব। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে অবস্থান জানাব।’
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। গত বুধবার র্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দাবি করে, ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি। তিনি ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ডিবি পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে উল্লেখ করে। যদিও ফারদিনের বাবা এ দাবি মানতে নারাজ।
র্যাব সূত্র জানায়, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা বিস্তারিত বুয়েট শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বুয়েটের ২১-২২ জন শিক্ষার্থীর একটি দল এসেছিল।
তাঁদের সঙ্গে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। পুরো বিষয়টি তাঁদের ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয়েছে।