চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেয়রের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীরা মেয়রের বাড়ির মূল ফটক ভাঙার চেষ্টার করেন। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে নগরের বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁরা রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এর আগে সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চট্টগ্রাম নগরের মেয়র গলির চশমা হিলের বাসায় হামলা চালানো হয়। নগরের লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।
আজ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরের টাইগারপাস, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর হয়ে বহদ্দারহাটে আসে। সেখানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর একান্ত সহকারী মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বহদ্দারহাট থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা মেয়রের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। তবে ধাওয়া দিলে চলে যান তাঁরা।
বহদ্দারহাটের সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি (বিক্ষোভ মিছিল) টাইগারপাসে শেষ হয়েছে। শুরু থেকে একটি পক্ষ আমাদের আন্দোলন বানচাল করতে চেয়েছে। এই পক্ষটি আমাদের সঙ্গে মিশে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বহদ্দারহাটের সংঘর্ষ ও মেয়রের বাড়িতে হামলার ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো দায় নেবে না।’