কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসে যাত্রীবেশে ওঠে একদল ডাকাত। ডাকাতির পর রাস্তার পাশে বাসটি ফেলে রেখে চলে যায় তারা। টাঙ্গাইলের মধুপুরের রক্তিপাড়ায়
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাসে যাত্রীবেশে ওঠে একদল ডাকাত। ডাকাতির পর রাস্তার পাশে বাসটি ফেলে রেখে চলে যায় তারা। টাঙ্গাইলের মধুপুরের রক্তিপাড়ায়

চলন্ত বাসে ডাকাতি, ধর্ষণ

জড়িতদের শাস্তি দাবি মহিলা পরিষদের

চলন্ত বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলন্ত বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যাত্রীবাহী নৈশ বাসে ডাকাতি ও নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণপূর্বক দ্রুত গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ঘটনার শিকার যাত্রীদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দাবি জানাচ্ছে।

মহিলা পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, গণপরিবহন, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র নারী ও কন্যার প্রতি সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাস্তাঘাট, গণপরিবহনে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
গণপরিবহনে নিরাপদ যাত্রী পরিবহন ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে মালিক ও পরিবহনসংশ্লিষ্টদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে যত্রতত্র গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানো বন্ধসহ এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী নৈশ বাস ঈগল পরিবহনে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২ আগস্ট কুষ্টিয়ার প্রাগপুর থেকে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঈগল পরিবহনের বাসটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে খাওয়ার জন্য বিরতি দেয়। বিরতি শেষে যাত্রা শুরু করলে পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকারী ১০-১২ জন তরুণ ওই যাত্রীবাহী বাসে ওঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা তরুণেরা অস্ত্রের মুখে একে একে যাত্রীদের সবাইকে চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে চালককে জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন এবং সব যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, টাকা, স্বর্ণালংকার লুটে নেন। এ সময় বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ৪ তরুণ মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল–ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের রাস্তার পাশে বালুর ঢিবিতে বাসটি কাত করে রেখে ডাকাত দলের সদস্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার শিকার ওই নারীকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।