আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের রাজস্ব খাতে না নিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে মিছিল–সমাবেশ করা হয়। ঢাকা, ২২ আগস্ট
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের রাজস্ব খাতে না নিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে মিছিল–সমাবেশ করা হয়। ঢাকা, ২২ আগস্ট

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের দাবিতে সমাবেশ

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের রাজস্ব খাতে না নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার এ দাবিতে তাঁরা সচিবালয়ের সামনে সমাবেশ করে স্মারকলিপি দেন। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও তাঁরা এ দাবিতে সমাবেশ করেন।

সকাল ১০টায় রামপুরা থেকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী শোভাযাত্রা করে সচিবালয়ের সামনে যান। তাঁরা সেখানে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিসংবলিত স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবের কাছে পৌঁছে দেন। এরপর তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে আবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমন্বয়ক নাফিউল আহমেদ বলেন, বিগত সরকার আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও প্রকল্পে প্রায় আট লাখ কর্মী চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। কোনো নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে দলীয় লোকদের নেওয়া হয়েছে। এসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এখন সরকারের কাছে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অযৌক্তিক দাবি করে আসছেন। অথচ তাঁদের নিয়োগের সময় স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে, এমন কোনো শর্ত ছিল না। ফলে তাঁদের দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন তাহিবুল ইসলাম, মেশকাতুল ফাহিম, লাবণি আক্তার, ইলমা ইসলাম, জুয়েল মাহাদী, নাহিদ রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে ছাত্রনেতাদের বক্তব্য, এখন যদি এই আউটসোর্সিং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়, তবে আগামী বেশ কয়েক বছর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে। কাজেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে বিগত সরকারের এই দলীয় কর্মী ও ক্যাডারদের চাকরির অবসান করতে হবে।

ছাত্রনেতারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল মেধার মূল্যায়নের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান। তাঁরা আরও বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য ও দুর্নীতি চলবে না। গত জুলাই থেকে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে নিয়োগ পরীক্ষা চালু করে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ দিতে হবে।

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রা করে মৎস্য ভবন পর্যন্ত গিয়ে তাঁদের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।