বেইলি রোডসহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে—কর্মস্থল ও জনসমাগমস্থল নিরাপদ রাখতে আগুন প্রতিরোধ, নিরাপত্তা এবং এ-সংক্রান্ত আইন প্রয়োগের সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি। এই অভিমত দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
বৃহস্পতিবার আইএলও এক বিবৃতিতে ১৩ মার্চ গাজীপুরে সিলিন্ডারের গ্যাস থেকে আগুনে ৩৬ জনের দগ্ধ হওয়া এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাড়ানো, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংস্কার এবং এ ধরনের দুর্ঘটনাগুলো এড়াতে শক্ত আইন প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিয়েছে।
আইএলও বলছে, আগুনের ঘটনাগুলো এটাই প্রমাণ করে যে শ্রমিকদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ভবনমালিকদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিধিবিধানগুলো কঠোরভাবে নিশ্চিত করা এবং ইমারত বিধিমালা (বিল্ডিং কোড) সতর্কভাবে মেনে চলা কতটা জরুরি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনা একটি রেস্তোরাঁ থেকে ছড়িয়েছিল। আর বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে তদারকিতে শিথিলতা এবং অপর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থার ভয়ানক পরিণতিগুলোকে সামনে তুলে নিয়ে আসে। এ ঘটনাগুলো এটি মনে করিয়ে দেয়, কাঠামোগত ব্যর্থতা, ইমারত বিধিমালার ত্রুটিগুলোর পাশাপাশি মানুষ ও ভবনের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আইএলও বলছে, বাংলাদেশের সব খাতে শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএলও সরকার ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধির রূপরেখা এবং এ-সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইএলও সরকারকে সহযোগিতা করবে।