পুলিশ
পুলিশ

পুলিশের ওপর আস্থা ফেরেনি, প্রত্যাশা অনেক

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পার হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি। একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে তিন মাসের মাথায় দৃশ্যমান উন্নতি হলেও পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা এখনো ফেরেনি। উপরন্তু মানুষের প্রত্যাশ্য বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পুলিশের একটা অংশ এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। ফলে পুলিশি কার্যক্রমে গতি কিছুটা বাড়লেও বাহিনীর সদস্যদের মনোবল ফেরানো এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতেও। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।

অক্টোবর–নভেম্বর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যদের অনেকে এখনো মামলার ভয়ে আছেন। আবার বিভিন্ন স্থানে নতুন পদায়ন হওয়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা বা সদস্যদের অনেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। যেমন ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অর্ধেকের বেশি নতুন মুখ। আভিযানিক দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের অনেকে আছেন, যাঁরা ঢাকার এলাকাগুলো এখনো ভালোভাবে চেনেন না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বিষয়টি স্বীকার করে ৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা পরিবর্তন করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে।’

আবার বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বড় অংশ বিগত সরকারের আমলে পদবঞ্চিত। তাঁদের দীর্ঘদিন ‘অপারেশনাল’ কার্যক্রমের বাইরে রেখেছিল সাবেক সরকার। তাঁদের অনেকেই এলাকাভিত্তিক অপরাধ ও অপরাধীদের ধরন এবং কার্যপরিধি ও এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি।

পুলিশি কার্যক্রমে গতি ফেরাতে পুলিশের ওপর মানুষের আস্থার সংকটকে একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। তাঁরা বলছেন, ১৫ বছর ধরে পুলিশকে দলীয় পেটোয়া বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সর্বশেষ জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ১০০ দিন পার হলেও মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে এখনো নেতিবাচক ধারণা রয়ে গেছে। অনেকে এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তারেরও চেষ্টা করছেন। কারও কারও মধ্যে পুলিশের বৈধ নির্দেশনা না মানার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি দৃশ্যমান। মামলা–জরিমানা করেও যানবাহনকে শৃঙ্খলায় আনা যাচ্ছে না।

আবার বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বড় অংশ বিগত সরকারের আমলে পদবঞ্চিত। তাঁদের দীর্ঘদিন ‘অপারেশনাল’ কার্যক্রমের বাইরে রেখেছিল সাবেক সরকার। তাঁদের অনেকেই এলাকাভিত্তিক অপরাধ ও অপরাধীদের ধরন এবং কার্যপরিধি ও এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি।

এ ছাড়া ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন–পরবর্তী গণরোষের মুখে পড়ে বিপর্যস্ত পুলিশকে সাহস জুগিয়ে উজ্জীবিত করার জন্য দক্ষ নেতৃত্বেরও ঘাটতি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে রয়েছে পছন্দের লোককে গুরুত্বপূর্ণ পদে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পক্ষের তৎপরতা। এটা করতে গিয়ে পেশাদার কর্মকর্তাদের অনেককে বিগত সরকারের দোসর বা সুবিধাভোগী তকমা দিয়ে কোণঠাসা করার অভিযোগও রয়েছে। এমন তকমার কারণে আগের সরকারের সময়ে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও কারও কারও প্রত্যাশিত পদোন্নতি-পদায়ন আটকে গেছে বলে জানা গেছে।

ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা পরিবর্তন করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক করতে সময় লাগবে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

মনঃকষ্ট, শঙ্কা ও ক্ষোভ

কনস্টেবল থেকে ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কিছু মনঃকষ্ট, শঙ্কা ও ক্ষোভের কথা জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘদিন রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে কাজ করেছেন, এমন অনেককে আগের কর্মস্থল থেকে অনেক দূরে বদলি করে দেওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। তাঁরা মনে কষ্ট বা ক্ষোভ নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে কাজে আন্তরিকতায় ভাটা পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পর্যায়ের সদস্যদের ওপর।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি, প্রাণঘাতী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ভয়। ওই সময় পুলিশের নেতৃস্থানীয় পদে বা আভিযানিক দলে না থাকা সত্ত্বেও মামলার আসামি হয়েছেন, এমন উদহারণ রয়েছে। আবার কাউকে কাউকে বিভিন্ন পক্ষ মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কারণে পুলিশের অনেকে অস্বস্তি ও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে পুলিশকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থানা ভবনগুলোর কার্যক্রম নিকটস্থ পুলিশ স্থাপনা, সরকারি স্থাপনা এবং ভাড়া বাড়িতে চলছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি ও যানবাহনের অভাবে টহল ও তল্লাশি কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে।

বিপর্যস্ত পরিস্থিতির প্রভাব

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে দেশের ১১৪টি থানা ক্ষতিগ্রস্ত (৫৮টি অগ্নিসংযোগ, ৫৬টি ভাঙচুর) হয়েছে। এর সঙ্গে ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র, পুলিশ বক্স, কার্যালয়, পুলিশ লাইনস ও অন্যান্য স্থাপনাসহ সব মিলিয়ে ৪৬০টি স্থাপনা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭৫ কোটি টাকার বেশি যানবাহন পুড়ে গেছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৮৬টি ওয়াকিটকি সেট হারিয়েছে। এর বাইরে ২৬ কোটি টাকার বেশি পোশাকসামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সর্বশেষ গত সপ্তাহে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে পুলিশের ১১ ধরনের ৫ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্র হারিয়ে গেছে বা লুট হয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার ৩১৭টি। ঢাকায় অস্ত্র হারিয়েছে ১ হাজার ৮৯৮টি এবং উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ২১৭টি। এর সঙ্গে সারা দেশে গোলাবারুদ হারিয়েছে বা লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি, উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮২টি।

এ অবস্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে পুলিশকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থানা ভবনগুলোর কার্যক্রম নিকটস্থ পুলিশ স্থাপনা, সরকারি স্থাপনা এবং ভাড়া বাড়িতে চলছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি ও যানবাহনের অভাবে টহল ও তল্লাশি কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে।

পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নানা কারণে প্রত্যাশিত কর্মপরিবেশ না পাওয়ায় নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে ভুক্তভোগীদের চাপ রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায়ই সড়কে অবস্থান ও ঘেরাও কর্মসূচি। একসঙ্গে এত কিছু সামলে নিতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জে পড়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক ইনামুল হক সাগর প্রথম আলোকে বলেন, সদস্যদের সাহস, মনোবল ও কাজের গতি ফেরাতে পুলিশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থাপনাগুলো সংস্কার এবং যানবাহন মেরামত ও নতুন করে ক্রয় করে কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

সক্রিয় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যরা

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। তখন পুলিশের প্রধান (মহাপরিদর্শক) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত আত্মগোপনে চলে যান। থানাগুলোর কার্যক্রম ছিল বন্ধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮ আগস্ট সারা দেশের থানাগুলোতে সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় অপারেশনাল কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন থেকে সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় শুরু হতে থাকে থানার কার্যক্রম। এখনো সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি ও আনসারের সঙ্গে পুলিশের যৌথ কার্যক্রম রয়েছে।

এই তিন মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতে ১৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনী। সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ওই দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনী সারা দেশে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র ও প্রায় দুই লাখ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অস্ত্র-গোলাবারুদ–সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনী ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।

জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে এবং অপরাধীদের ধরতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস

এ ছাড়া ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবের কার্যক্রমও চলছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ও সময় বিশ্লেষণ করে তল্লাশিচৌকির সংখ্যা ও টহল বাড়িয়েছে। র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, তারা ছিনতাই প্রতিরোধে ইতিমধ্যে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারেও অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা একক ও যৌথভাবে আড়াই হাজারের বেশি ‘ব্লক রেইড’ অভিযান করেছে। এতে ঢাকার মোহাম্মদপুরসহ বেশির ভাগ এলাকায় ছিনতাইসহ সুনির্দিষ্ট কিছু অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাব বিভিন্ন ঘটনায় ২ হাজার ৬৫৬টি অভিযান পরিচালনা করে ৩ হাজার ৩৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, ‘জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে এবং অপরাধীদের ধরতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’