২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে

‘রকমারি বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন লেখক-প্রকাশকেরা

বাংলাদেশে অনলাইন বই বিপণনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান রকমারি ডটকমের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ‘রকমারি বইমেলা বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠান। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রকমারি থেকে সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের দেওয়া হয় এ পুরস্কার। ফিকশন, নন-ফিকশন, ধর্মীয় এবং ক্যারিয়ার ও একাডেমিক—এ চার শাখায় চারজন লেখক ও চারটি বইয়ের প্রকাশনীকে পুরস্কৃত করা হয়।

গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি রোডে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকেরা হলেন যথাক্রমে ইলমা বেহরোজ, মুহাম্মদ ইলিয়াস কাঞ্চন, শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং কিউএনএ পাবলিকেশন্স লেখক পরিষদ। চারটি প্রকাশনী হলো যথাক্রমে অন্যধারা, হিয়া প্রকাশনা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এবং কিউএনএ পাবলিকেশন। এ ছাড়া একই সঙ্গে ২১টি ক্যাটাগরির ২১ জন লেখক ও ২১টি বইকেও সম্মাননা জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক ও বইবন্ধু জিয়াউল হক। আরও ছিলেন রকমারি ডটকমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জুবায়ের বিন আমিন, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এহতেশামস রাকিব এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আনাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা গ্রামের বইবন্ধু ও সমাজসেবক জিয়াউল হক বলেন, ‘১৯৫৫ সালে আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তাম। টাকার অভাবে আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পড়ালেখা ছেড়ে বাবার দইয়ের ব্যবসা শুরু করলাম। পরে এই টাকা থেকে বই কিনলাম পড়ালেখা থেকে ঝরে যাওয়া ছেলেদের জন্য। আমি ১২ হাজার ছেলেকে শিক্ষিত করেছি। কেউ হয়েছে ডাক্তার-পুলিশ, আবার কেউ হয়েছে আনসার-শিক্ষক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার গোলায় নেই ধান। ব্যাংকে নেই টাকা। তবু পড়ালেখা করিয়ে যেতে চাই। তৈরি করতে চাই নান্দনিক জিয়াউল হক পাঠাগার।’

সমাপনী বক্তব্যে রকমারি ডটকমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘৫৬ হাজার বর্গমাইল বইয়ে বইয়ে সয়লাব করতে চাই। মানুষের কাছে বই পৌঁছে দিতে চাই। আমি বলছি না, বই বিক্রি করে টাকা উৎপাদন করার কথা। অন্য কিছু বিক্রি করে আরও বেশি টাকা কামানো যেতে পারে। আমি বলতে চাচ্ছি, বই বিক্রির গুরুত্বের বিষয়। বই লেখার মাধ্যমে আমি যে অসাধারণ ভ্যালু তৈরি করলাম, সেটার জন্য মেকানিজম বা পরিকল্পনা প্রয়োজন। বই বিক্রির মেকানিজম তৈরি করা প্রকাশক ও লেখকদের অন্যতম কাজ। এটা আসলে সবার কাজ। প্রকাশক, লেখক ও রকমারির কাজ।’