সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা বলেছেন আলোচনাটি শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি। এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কাল রোববারও তাঁদের কর্মসূচি চলছে।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন বাতিল করাসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। এ কারণে ক্লাস পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা নিতে যাওয়া মানুষেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১ জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়। তাঁদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও একটা দাবি। সবার মতো তাঁরাও ২০২৫ সালের ১ জুলাইয়ে যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ শিক্ষক নেতা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, একটা বিষয়ে ভুল–বোঝাবুঝি মিটেছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
এ রকম পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষষে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, আজ তাঁরা আলোচনা করেছেন। আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। আলোচনা শুরু হওয়ায় তাঁরা খুশি। আগামীকাল অনলাইনে (জুমে) ফেডারেশনের সভা হবে। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে আগামীকালের কর্মসূচি যথারীতি চলবে।