জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিচার ও তদন্তপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়নি। সরকার যে বিচার করেছে, তা নিয়ে শহীদ পরিবার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
আজ শনিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, ‘বিদ্রোহের ঘটনায় একটা মামলার বিচার হয়েছে, কিছু পরিবারকে পুনর্বাসনও করা হয়েছে। তবে শহীদ পরিবারসহ জনমনে একটা ক্ষোভ সব সময় দেখে আসছি।
তাঁদের ধারণা, এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু এর বিচারপ্রক্রিয়া খুব একটা স্বচ্ছ হয়নি। আমি মনে করি এ বিষয়ে সরকার দৃষ্টি দেবে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার পেয়ে শহীদ পরিবারগুলো যেন সন্তুষ্ট হতে পারে, সেটাই আমাদের চাওয়া।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এত বড় একটি ঘটনা ঘটে গেল, আগে থেকে কিছুই জানা গেল না, এটা অস্বাভাবিক। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো কাজ করে, তারা কি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই আঁচ করতে পারেনি। যদি তখন তারা আঁচ করে থাকে, তাহলে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি? আর যদি না করে থাকে, তাহলে কেন তাদের ব্যর্থতা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। পিলখানায় নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। মোট নিহত হন ৭৪ জন।
দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহে নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত অনেক কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা দুই মামলার একটি (হত্যা মামলা) এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। অপর মামলাটি (বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা) বিচার শেষ হয়নি। এখনো মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।