এ বছর ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ। কথাসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য ইমদাদুল হক মিলনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে (অনূর্ধ্ব চল্লিশ) ‘রাইরিন্তার শেষ উপহার’ গল্পগ্রন্থের জন্য পুরস্কার পান মাহবুব ময়ূখ রিশাদ। পুরস্কার হিসেবে তাঁরা পেয়েছেন ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ (যথাক্রমে সাত লাখ ও তিন লাখ টাকা)।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এর আগে ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পুরস্কার গ্রহণ শেষে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তি লেখকের কাজকে মূল্যায়িত করে। তবে এ পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে বিষাদও মিশে আছে। বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ যদি আরও লিখতে পারতেন, তাহলে বাংলা সাহিত্যের জন্য অনেক বেশি পাওয়া হতো। তাঁর প্রয়াণ বিষাদ এনে দেয়।
মাহবুব ময়ূখ রিশাদ তাঁর লেখা শুরুর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কত রকমভাবে পাঠককে মুগ্ধ করেছেন, সেই বর্ণনা উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
নবীন শ্রেণির পুরস্কারপ্রাপ্ত মাহবুব ময়ূখের শংসাবচন পাঠ করেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। ইমদাদুল হক মিলনকে নিয়ে শংসাবচন পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
১৩ নভেম্বর পাঠকনন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। তার আগে ‘এক্সিম ব্যাংক–অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩’ দিল এক্সিম ব্যাংক ও পাক্ষিক পত্রিকা অন্যদিন। আয়োজক প্রতিষ্ঠান আগেই পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেছিল।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আবদুল বারী, কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনয়শিল্পী মেহের আফরোজ শাওন, অন্যদিন পত্রিকার সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ প্রমুখ।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ২০১৫ সাল থেকে ‘কথাসাহিত্যে সার্বিক অবদান’ ও ‘নবীন সাহিত্য শ্রেণি’ দুটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর এ পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ৫ লাখের পরিবর্তে ৭ লাখ এবং ১ লাখের পরিবর্তে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজকের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আবদুল্লাহ নাসের।