জ্বালানি তেল পরিবহনে নিয়োজিত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দুটি ট্যাংকারে আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সোমবার বন্দরের ডলফিন ওয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতিতে’ বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছিলেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে সংস্থাটির আরেকটি ট্যাংকার এমটি বাংলার সৌরভে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকজন নাবিক নিহত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্যাংকার দুটি বিস্ফোরণে ডুবে গেলে বন্ধ হয়ে যেত চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের আসা-যাওয়া। স্থবির হয়ে পড়ত দেশের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। আগুন লাগার আগে বাংলার জ্যোতি ট্যাংকারে ১১ হাজার ৭০০ টন এবং বাংলার সৌরভ ট্যাংকারে ১১ হাজার টন অপরিশোধিত তেল ছিল। জাহাজগুলোতে থাকা বিপুল পরিমাণ এই তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়লে হুমকির মুখে পড়তে হতো কর্ণফুলী নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একাধিক বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট। এ ছাড়া কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অন্য নাবিকদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।