বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

আন্দোলনে হামলা, হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক এই দাবি জানায়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫ জন শিক্ষক বিবৃতিতে সই করেছেন।

শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতিতে বলা হয়, ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, তা তাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ড, হামলার নিন্দা-প্রতিবাদ জানায়। নিহত ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। একই সঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকেরা নীরবে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলাকে বৈধতা দিয়েছেন। তাঁরা রক্তপাতের অংশীদার হয়েছেন শুধু পদপদবি আঁকড়ে রাখার জন্য।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক মনে করছে, ২০১৮ সালেই শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটার হার ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার যৌক্তিকতা ছিল। ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন থেকে উত্থাপিত দাবি বিবেচনা না করে তখন সরকার পরিকল্পিতভাবে তা উপেক্ষা, দমন-পীড়নের নীতি গ্রহণ করেছিল। তখন আন্দোলন তীব্র হলে কোটাপ্রথা বাতিল করে দেওয়া হয়। সেটা একটা বিভ্রান্তিকর ও চাতুর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ, নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় আনার জন্য কোটার প্রয়োজন রয়েছে।