উপদেশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগের জন্য অর্থ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকাকে বলেছি, ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। আমাদের টাকা দরকার। আপনারা টাকা নিয়ে আসেন।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ব্রাসেলস সফরের বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা শুধু উপদেশ দেয়, যা আপনারা (গণমাধ্যম) পছন্দ করেন। নির্বাচন, অমুক-তমুক…এবারে এগুলো নিয়ে কোনো আলাপ করেনি। একবার তারা বলেছে, ইন্দো-প্যাসিফিকে (ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। তারা শুধু উপদেশ দেবে না বা ভয় দেখাবে না, তারা টাকা নিয়ে আসবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ৩০০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা প্রায় এক বিলিয়ন ইউরো সই করেছি। এর মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন হচ্ছে ঋণ। সেটির বিষয়ে আমরা ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রসঙ্গ টেনে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আমেরিকাকেও বলেছি, ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। আমাদের টাকা দরকার। আপনারা টাকা নিয়ে আসেন। আপনারা শুধু উপদেশ নিয়ে আসেন, উপদেশে আমাদের মন ভরে না। আপনারা যদি চায়নাকে হারাতে চান, তাহলে আপনারাও চায়নিজদের মতো টাকার ঝুড়ি নিয়ে আসেন এবং সহনীয় প্রস্তাব নিয়ে আসেন। আহাম্মকি প্রস্তাব নিয়ে আসলে…।’
যুক্তরাষ্ট্রও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ২৫০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে জানান এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেক দেশ প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) করছে। উদ্দেশ্য জিনিস বিক্রি করা, ব্যবসা করা। আমরা বলেছি, যুদ্ধে আমরা নাই। আমরা বলেছি, বোয়িং কিনতে চাই। আর যায় কোথায়! তারা বলছে, বোয়িংয়ের দাম অর্ধেক করে দেবে। খালি ব্যবসা। বাকি যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র—এগুলো ভাঁওতাবাজি। চাপ দেওয়ার জন্য এগুলো করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মানবাধিকার প্রসঙ্গ তোলা হয়নি বলেও জানান আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ওনারা মনে হয়, এ ব্যাপারে লজ্জিত।