রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

আড়াই বছরে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় ২১৯ মৃত্যু

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় আনন্দ ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি কেটে একে একে লাশ উদ্ধার করে রাখা হয় রেললাইনের পাশে। গতকাল বেলা দুইটার দিকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায়
ছবি: ইকবাল হোসেন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, গত আড়াই বছরে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২১৯ জন। দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, গেটম্যান না থাকা, দায়িত্বে অবহেলা, জনবলসংকট ও মানুষের অসচেতনতাকে।

গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া স্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এতে আহত হন ৭ জন। এই ১১ জনসহ এ বছর রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় ৭৪ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালে ৩৮টি রেলক্রসিং দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৯ জন, ২০২১ সালে ৪৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭৬ জন এবং ২০২২ সালের ২৯ জুলাই পর্যন্ত ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সংগঠনটি বলেছে, বহু রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান ও গেটবারের ব্যবস্থা নেই, বৈধ রেলক্রসিংয়ে গেটম্যানদের দায়িত্বে অবহেলা, গেটম্যান হিসেবে লোকবলের সংকট, যানবাহনের চালক ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসচেতনতা ও অধৈর্য মানসিকতা এবং দুর্ঘটনায় দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া এবং রেলপথ ব্যবস্থাপনায় আইনের শাসনের অভাব।

রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ ও উপযুক্ত গেটবারের ব্যবস্থা করা, রেলক্রসিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার, রেলপথ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতসহ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।