আদালত ঘেরাও করে আন্দোলনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন নয় বলে মনে করে এবি পার্টি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির বিচার না হলে এই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মনে করে দলটি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে এবি যুব পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে দলটির শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন।
এই সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, উচ্চ আদালতের কয়েকজন বিচারপতির সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতা রহিত করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাতে বিচার কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, এভাবে আদালত ঘেরাও করে আন্দোলনের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হলে এই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।
মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও উচ্চ দ্রব্যমূল্য এখনো বহন করে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে অনতিবিলম্বে নিত্যপণ্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে একক প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হবে। টিসিবির পণ্য ট্রাকে নয়, এলাকাভিত্তিক ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিতরণ করার দাবিও জানান তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও যুবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম ও এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব সানী আব্দুল হক ও ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স। এই প্রতিনিধি সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন এবি যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদীউজ্জামান।