পাবনায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো ১২ জন কৃষকের মুক্তি চেয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।
দুটি আলাদা বিবৃতিতে আজ শনিবার সংগঠন দুটির নেতারা বলেছেন, সামান্য টাকার জন্য সাধারণ কৃষককে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা অমানবিক। অথচ দেশে রাঘববোয়ালদের কাছ থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকারের কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের তোয়াজ করে চলা হয়।
উল্লেখ্য, পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি মামলায় ৩৭ জন কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ওই কৃষকেরা ঋণ নিয়েছিলেন। অবশ্য ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
বিবৃতিতে বড় ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ন্যাপের সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম এ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির আরেক বিবৃতিতে বলেন, পাবনার ১২ কৃষককে মুক্তি দিতে হবে। আর ১২ কৃষকসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনার সময় কৃষকেরা দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। অথচ ২৫ হাজার টাকার জন্য তাঁদের কোমরে দড়ি দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও গ্রেপ্তার হওয়া কৃষকের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাঁরা ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে প্রশাসন গরিব কৃষকের কথা আমলে নেয়নি।