চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সকে লাঞ্ছিত এবং জরুরি বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্যসচিব নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাজ্জাদ ওসমান।
নাছির উদ্দিন পটিয়া পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটিয়া ক্লাবের অ্যাডহক কমিটির সদস্য।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাছির উদ্দিন গতকাল রাত ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর এক চাচাকে দেখতে যান। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য এক ঘণ্টা আগে ওই রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাছির কেন তাঁর চাচাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার কৈফিয়ত চান। ওই সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম জানান, রোগীর অবস্থা ভালো নয়, তাই পাঠানো হয়েছে। এটি বলার পর ক্ষিপ্ত হয়ে যান নাছির। তিনি চিকিৎসক তারেকুল ইসলামকে মারতে যান। তখন স্বাস্থ্যকর্মী রিন্টু বাধা দিলে তাঁকে চড়–থাপ্পড় মারা হয়। এ ছাড়া দুই নার্সের গায়ে রোগীর ফাইল ছুড়ে মারেন। ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নাছিরকে থানায় নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চার দিন আগে ভর্তি হওয়া চাচার অবস্থা খারাপ শুনে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে কীভাবে পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সকে লাঞ্ছিত এবং জরুরি বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন নাছির।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাজ্জাদ ওসমান বলেন, মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নাছির।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নুর প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষ আপস হওয়ায় এবং মুচলেকা দেওয়ায় নাছিরকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মামলা করেননি।